যেসব দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার ও মানবিক অধিকার নিয়ে সমস্যা ও উদ্বেগ রয়েছে, সেটি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টে উল্লিখিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নাম দেখা যায়নি। আগামী ৩১ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান হিসেবে চার বছর মেয়াদ পূর্ণ করবেন মিশেল। এ উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
রিপোর্টে গুম-খুনের মতো বিশেষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেসব দেশে বিরাজমান, সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আসেনি। মিশেলের রিপোর্টে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক মানবাধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব ক্ষেত্রে নানা যুগান্তকারী অর্জনকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
মিশেলের এই রিপোর্টে মূলত জাতিসংঘের দৃষ্টিতে গত চার বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির একটা মূল্যায়ন ফুটে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশসহ যেসব দেশে মিশেল সফর করেছেন, তার একটা তালিকা উল্লেখ করেছেন। দেশগুলো হলো- বুরকিনা ফাসো, নাইজার, আফগানিস্তান, চীন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, পেরু এবং বাংলাদেশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পর মিশেলের এই রিপোর্টকে গুরুত্বসহকারে দেখছে ঢাকা। সফরকালে সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মানবাধিকার বিষয়ে যেসব তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো তারা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই রিপোর্টে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে বলে উল্লেখ করছেন তারা।
ডব্লিউজি/এমএ