বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আস সামশ জগলুল হোসেন এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া সাংবাদিকরা হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এফ এম কামাল ফকির, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সামসুল হুদা লিটন, আমাদের সময় পত্রিকার কাপাসিয়া প্রতিনিধি জাকির হোসেন কামাল, মানবকণ্ঠের হাসিব খান এবং মিজান খান শিমুল।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে মামলার আইনজীবী ছিলেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম শামীম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর বিয়ের পর বাসর ঘর থেকে চলে যাওয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বামী। অভিযোগের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। পরে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন ওই তরুণী।
এদিকে তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি গাজীপুর সহকারী জজ আদালত থেকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্ত পাঁচ সাংবাদিককেই খালাস দেন বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, চার্জ গঠনের উপাদান না পাওয়ায় বিচারক সবাইকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে খালাস পাওয়া সাংবাদিকরা বলেন, বিনা অপরাধে তিন বছর আদালতে আদালতে ঘুরতে হয়েছে। তদন্ত করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নিলে আমাদের এত কষ্ট হতো না।