মুরগির দামকে ছুঁতে চলেছে ডিম

দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ডিমও এখন চড়া দামের পণ্য। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি হাফ-সেঞ্চুরি পার করেছে। দেশে এর আগে কখনও এত দামে মানুষকে ডিম কিনতে হয়নি বলে জানিয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। ডিমের এক ডজনের দাম ছুঁতে চলেছে মুরগির দামকে।

কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। আর মুরগির কেজি বিক্রি করছি ১৯০ টাকা করে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামার থেকেই বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। সামনে দাম কমার সম্ভাবনাও নেই। ডিমের দাম যে এত বাড়বে, তা আমাদেরও ধারণা ছিল না।

খুচরা ডিম ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা করে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে ডিম কিনতে হয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ডজন প্রতি ডিমের দাম ১০ টাকার বেশি বেড়েছে। খামার থেকে যে দামে পেয়েছি তার থেকে অল্প কিছু লাভ করেই ডিম বিক্রি করছি।

ডিমের দাম বাড়তির দিকে থাকলেও কিছুটা ভালো খবর রয়েছে মুরগির বাজারে। গরিবের ‘গরুর মাংস’ ব্রয়লারের দাম কমেছে ১০ টাকা করে। চট্টগ্রামের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৯০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই দিন আগেও ব্রয়লার বিক্রি করেছি ২০০ টাকা কেজিতে। আজকে বিক্রি করছি ১৯০ টাকা করে। এর বেশি দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে মুরগির দাম বাড়িয়েছে খামার মালিকরা।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এক ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকা। কিন্তু পাড়ার দোকানে ১৭০ টাকা করে নিচ্ছে। অনেক ক্রেতারা বলছেন, দাম না কমা পর্যন্ত ডিম না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিকে মুরগির দামও বাড়তি। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের বাঁচা কঠিন হয়ে গেছে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *