বরগুনার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি; পৌর শহরসহ নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত

বরগুনার বিষখালী ও খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পৌর শহর সহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও তলিয়ে গেছে জেলার দুই ফেরীঘাট। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষ। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার বিষখালী ও খকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পৌরশহরের চরকলোনী, পশু হাসপাতাল সড়ক, গার্মেন্টস পট্টিসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও পূর্নিমার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে রাস্তা, দোকানপাট। ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যাবসায়ীরা। প্লাবিত হয়েছে পৌর শহরের কলেজ রোড, ডিকেপি রোড, ফার্মেসি পট্টি, কসমেটিক্স পট্টি।

নুরু মিয়া, আসমা আক্তারসহ পশু হাসপাতাল সড়ক এলাকার কয়েকজন ব্যাবসায়ী বলেন, জোয়ারের পানিতে আমাদের মুরগি ও মাছের খাবার নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ব্যাপক ঔষধ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের ব্যাপক পরিমানে লোকসান হবে। চরকলোনী এলকার মো. নাঈম খান বলেন, আমাদের ঘর খকদোন নদী সংলগ্ন। ফলে জোয়ারের পানিতে রান্নাঘর তলিয়ে গেছে। ঘরের ভেতের পানি ঢুকছে। রান্নার কোন উপায় নেই। মুল্যবান আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। রাস্তাঘাট পানি ঢুবে যাওয়ায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

পৌর সহর ছাড়াও তলিয়ে গেছে আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরীর গ্যাংওয়ে। এতে গাড়ি নিয়ে পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। জোয়ারের পানিতে ফেরীর গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। ঝুকি নিয়ে ফেরীতে উঠতে হয় আমাদের। এভাবে পারাপার চলতে থাকলে যেকোন সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা। এসব রুটে চলাচল করা কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমরা কোম্পানিতে চাকরি করি। মালামাল নিয়ে প্রতিদিন আমতলী যেতে হয়। তবে পানিতে ডুবে থাকে ফেরীঘাট। পানিট মধ্যে দিয়েই আমাদের পাড়ে উঠতে হয়। মালামাল কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিপাত ও পূর্নিমার প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত প্রত্যেক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *