চট্টগ্রাম থেকে ১৮ দিনেই জাহাজ পৌঁছাল ইতালিতে

চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে ১৮ দিনে ইতালির অন্যতম বৃহৎ সমুদ্র বন্দর রাভেন্না’য় পৌঁছেছে কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমভি কেইপ ফ্লোরেস ভয়েজ।

জাহাজটিকে স্বাগত জানিয়েছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান। ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, গত ১০ আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে এমভি কেইপ ফ্লোরেস ভয়েজ ০০৭ ডব্লিউ রাভেন্না সমুদ্র বন্দরে পৌঁছায়।

এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা আনন্দ আর গর্বের এক বিশেষ মুহূর্ত।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ২৪ জুলাই রওনা দিয়ে মাত্র ১৮ দিনেই ৫০৭ টি কন্টেইনার বহনকারী এই জাহাজটি বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য নিয়ে সরাসরি ইতালির বন্দরে নোঙর করে। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে রাভেন্না বন্দরের প্রেসিডেন্ট জিয়ানানতোনিও মিনগোজ্জি এবং রিফলাইন ইতালির প্রেসিডেন্ট জর্জিও ভরিয়া, দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সিলর মানস মিত্র উপস্থিত ছিলেন। বন্ধু প্রতিম দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণে সরাসরি জাহাজ চলাচলের প্রারম্ভিক কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ইতালি রুটে চট্টগ্রাম এবং রাভেন্না বন্দরের মধ্যে উভয় দিকেই ইতোমধ্যে কয়েকবার সরাসরি জাহাজ চলাচল করেছে। সরাসরি জাহাজ চলাচলের এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নব দিগন্ত উন্মোচিত হল যা দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি, বিশেষ করে ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি বহুগুণে প্রসারিত করবে। এ উদ্যোগের ফলে দু’দেশের মধ্যে মালামাল পরিবহনের ব্যয় ৪৫-৫০ শতাংশ কমে যাবে যেহেতু জাহাজ চলাচলের সময় আগের ৪৫ দিন থেকে কমে এখন ১৫-১৮ দিনে নেমে গেছে।

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জানান, ইতালিয়ান পোশাক আমদানি কারক এবং মালামাল পরিবহনকারী সংস্থা ‘রিফলাইন’ ও এর অঙ্গসংস্থা ‘ক্যালিপসো কোম্পানিয়া’ এর যৌথ উদ্যোগের ফলে নতুন এই নৌপথ আবিষ্কৃত হলো। বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তর রপ্তানি গন্তব্যের দেশ (প্রায় ২.৩ বিলিয়ন) ইতালির সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সুদৃঢ় এবং প্রসারিত করার লক্ষ্যে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে ইতালিয়ান কোম্পানিগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *