সাভারের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা। শুক্রবার দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, আশুলিয়ায় বাড়িতে ঢুকে হামলা মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় এক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশের পর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কয়েকজন সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে ভয়ংকর অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে ও হুমকি দিয়ে আসছে তার অনুসারীরা। সাংবাদিকদের ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মত ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন অপপ্রচার। যা তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভয়ংকর অপরাধের শামিল। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অপকর্মের বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হওয়ায় এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।মানববন্ধন থেকে এসব অপপ্রচারের উস্কানি দাতা সামিউল আলম শামীমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আগামী ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিকরা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ টিভি’র প্রতিবেদক নাজমুল হুদা, ভোরের পাতা ও গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিবেদক তোফায়েল হোসেন তোসানি, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু আহমেদ জাফর, দৈনিক মানবকন্ঠের সাদ্দাম হোসেন, এশিয়ান টিভির ওমর ফারুক, আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি জাহিন সিংহ, ডেইলি সানের প্রতিবেদক মেহেদী হাসান মানিক প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে মোহনা টিভির প্রতিবেদক জিয়া উদ্দিন জাহিদ, যায় যায় দিনের প্রতিবেদক আরজু মীর, সময়ের আলোর দেওয়ান মো. ইমন, সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে সারা দেশের নির্যাতিত সাংবাদিকদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের নিরাপত্তা ও সংবাদ মাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের যেকোনো দাবির সাথে সরব থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় দু’শতাধিক লোক নিয়ে একটি বাড়িতে হামলা চালান পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিউল আলম সোহাগ। এ ঘটনায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট ও নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার শুরু করেন গ্রেফতারকৃত ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সামিউল আলম শামীম ও তাদের অনুসারীরা।

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *