দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্বহীন চলচ্চিত্রের মাদার সংগঠন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি। আগামী ২০ আগস্ট এই সংগঠনের ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে জোট বেঁধেছিলেন সময়ের সবচেয়ে বেশি অর্থ লগ্নীকারী দুই প্রযোজক সেলিম খান ও ডিপজল। তবে আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন তারা।
গত ২২ জুন ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচনের সংশোধিত নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচনি বোর্ড। তবে আদালতের রায়ে ভোটার তালিকা সংশোধনীর কারণে অনেকেরই প্রার্থিতা ও ভোট বাতিল হয়েছে। সংশোধিত তফসিলে দ্বিতীয়বার মনোনয়নপত্র তোলেননি ডিপজল। অন্যদিকে সেলিম খান মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যায়ে এসে প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন।
নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের প্যাডে লিখিত আবেদনে সেলিম খান লিখেছেন, ‘আমি মো. সেলিম খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সমিতির আসন্ন ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে একজন প্রার্থী হই। ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমার প্রার্থিতা আমি প্রত্যাহার করলাম। আমার প্রার্থিতা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
অন্যদিকে ডিপজল গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমার শরীর ভালো নেই। অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। কিছুদিন পরপরই দেশের বাইরে যেতে হয়। নির্বাচন করতে হলে সময় দিতে হবে, সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। এ কারণেই নির্বাচন করছি না।
জানা গেছে, সংশোধনী ভোটার তালিকায় বাতিল হওয়া সাধারণ সদস্য ৫১ ভোটের মধ্যে প্রযোজক সেলিম খানের প্যানেলেরই প্রায় ৪৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। সংশোধনীতে বর্তমান সাধারণ ভোটার ১০৮ জন ও সহযোগী ভোটার ৬৮ জন।
এদিকে সালিসি ট্রাইব্যুনাল, এফবিসিসিআইয়ের রায় এবং সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, এর আগে বাতিল হওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খোরশেদ আলম ও শামসুল আলম তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ডব্লিউজি/এএইচ