চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বাবা-মা হয়েছেন তারকা দম্পতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। দুই থেকে তিন হয়ে তাদের আনন্দের সীমা নেই। একমাত্র মেয়ে ইলহাম নুসরাত ফারুকীর জন্মের পর তাকে ঘিরেই মেতে আছেন এই দম্পতি।
বুধবার (১০ আগস্ট) মধ্যরাতে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ (১১ আগস্ট) ইফসা টরন্টোর ওপেনিং শোতে তার সিনেমা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ দেখানো হবে। আগামী ১৩ আগস্ট দেখানো হবে ‘শনিবার বিকেল’। দুটো শো-তেই থাকবেন তিনি। তার এই সফরে স্ত্রী-কন্যার সঙ্গী হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিশা আর ইলহাম যায়নি। আর তাই মেয়েকে রেখে দূরে গিয়ে কীভাবে থাকবেন, চিন্তায় পড়েছেন ফারুকী।
এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখলাম, বিদেশ যাওয়ার সময় বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফোন করে বিদায় নেওয়ার মতো আর কেউ অবশিষ্ট নেই আমার। আগে আম্মা আর আব্বাকে ফোন করতাম! তারপর কমে গিয়ে আব্বা। এবার আর কেউ নেই। তিশাকে বললাম কথাটা। তারপর দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবলাম অনেকক্ষণ। এই তো জীবন। কয়েক দশক মাত্র।
ফারুকী আরও লিখেছেন, ‘টরন্টো যাচ্ছি। খুব আনন্দের সঙ্গে এই লেখাটা লিখার কথা ছিল। কিন্তু সব প্রস্তুতি থাকার পরও তিশা আর ইলহাম শেষ পর্যন্ত যাচ্ছে না। ফলে বাবা-মায়ের জন্য শুরু হওয়া মন খারাপ ইলহামের জন্য গিয়ে ঠেকেছে। এতদিন ওকে স্পর্শ না করে থাকব কীভাবে। আমি আর তিশা না হয় ভিডিও কলে কথা বলব। ও (ইলহাম) বেচারা তো সেটাতেও অভ্যস্ত হয়নি। কারণ, আমরা ওকে মোবাইল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। এসব ভাবতে ভাবতে যাত্রার সময় নিকটে আসে! দেখা হবে টরন্টো।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। ফারুকীর আক্ষেপের সুরে শামিল হয়েছেন অন্যান্য নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা। তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ‘শনিবার বিকেল’র মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। সহকর্মীদের এমন সাপোর্টে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ফারুকী। কৃতজ্ঞতায় বহুবার চোখ ভিজেছে তার।
‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে।
ডব্লিউজি/এএইচ