লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ২

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার খেজুরবাড়িয়া এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। তবে লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে গেলেও সুরক্ষিত রয়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল।

নিখোঁজরা হলেন পিরোজপুরের নান্দুহার এলাকার মিলন ও একই এলাকার কালাম।

বাল্কহেডের মালিক কাজী হাবিবুল্লাহ জানিয়েছেন, প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থান অতিক্রমকালে বালুভর্তি বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে ওই দুজন নিখোঁজ হন।

মর্নিংসান লঞ্চের একাধিক যাত্রী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত স্থান অতিক্রমকালে আড়াআড়িভাবে আসা দ্রুতগামী বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে লঞ্চের মাঝ বরাবর ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। লঞ্চের তলা ফেটে পানি ওঠে। লঞ্চটি দ্রুত চৌধুরী ঘাটে নোঙর করায় কোনও অঘটন ঘটেনি। তবে ভয় পেয়ে লঞ্চ থেকে অনেক যাত্রী নেমে গেছেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাল্কহেডকে ধাক্কা দেওয়ায় লঞ্চের সামনের অংশ ফেটে পানি প্রবেশ করে। লঞ্চটি মেরামতের চেষ্টা চলছে। কিছু যাত্রী লঞ্চে রয়েছেন। বাকিরা চৌধুরী হাট এলাকায় নেমে যান। লঞ্চ ঢাকায় ছেড়ে যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন যাত্রীদের। বিকল্পভাবে তাদের গন্তব্যে যেতে সহায়তা করছেন।

এরই মধ্যে ৩০০ যাত্রী বিকল্প পথে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। লঞ্চটিকে ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে লঞ্চ।

এদিকে নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে ট্রলার নিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নদীতে টহল দিচ্ছেন। তাদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানান উজিরপুর থানার পরিদর্শক।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *