নরসিংদীতে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই; গ্রেপ্তার ৫

কখনো যাত্রীবেশে, আবার কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ভয়ংকর ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। নরসিংদী ও গাজীপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে কখনো যাত্রীবেশে, আবার কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রাইভেটকার, সিএনজি ও অটো রিকশা ছিনতাই করাই ছিল তাদের মূল পেশা। ছিনতাইয়ের করতে গিয়ে চালকদের বাধার মুখে পড়লে ছুরিকাঘাত করে চালকদের গুরুত্বর আহত বা খুন করে হলেও তাদের ছিনতাই কাজ অব্যাহত রাখতেন। এমনই এক ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশ।

এসময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, ৫টি অটো রিকশা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকার সাদিপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আরিফ মিয়া (২৮), সাদিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মিম ইসলাম (২৬), সাদিপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়া (৩০), কোনাবাড়ি এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে মো. রিপন মিয়া (৩৩) ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকার গুকলদাসের বাগ গ্রামের মৃত আমির হামজার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৮) সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত ভয়ংকর ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান। তিনি জানান, গত ২১ জুলাই সকালে পলাশ উপজেলার খানেপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে ইয়াকুব মিয়া (অটো চালক) তার অটো নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে বের হয়। পরে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক যাত্রী ভাগদী এলাকায় যাওয়ার কথা বলে ভাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ওই যাত্রী একটি প্রাইভেটকারের কাছে নিয়ে অটো রিকশাটি থামাতে বলে।

অটো চালক ইয়াকুব মিয়া তার অটো রিকশাটি থামানো মাত্রই প্রাইভেটকার থেকে তিন জন লোক নেমে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ইয়াকুব মিয়াকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ভাগদী এলাকা থেকে প্রায় একশ গজ দূরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ইয়াকুব মিয়ার টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন রেখে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ইয়াকুব ভাগদী এলাকায় তার অটো রিকশা রাখার স্থানে গিয়ে দেখে সেখান থেকে তার অটোটি নিয়ে গেছে। এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের নির্দেশে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযানে নামে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভয়ংকর ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া গত কাল রোববার (৭ আগস্ট) ভুক্তভোগি অটো চালক ইয়াকুব মিয়া বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *