প্রেমের টানে বরিশালে আসা তামিলনাড়ুর প্রেমাকান্তের পক্ষ নিলেন আসিফ

প্রেমের টানে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে এসে প্রেমিকার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রেমাকান্ত নামে এক যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে দেখাও হয়েছে। এমনকি প্রেমিকার বর্তমান বয়ফ্রেন্ডের কাছে মারও খেয়েছেন। প্রেমে ব্যর্থ হয়েই নিজ দেশে ফিরে গেছেন তিনি।

প্রেমাকান্তকে নিয়ে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। তার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

প্রেমের ব্যাপারে আমি খুব সেনসিটিভ। যে কোনো সলিড প্রেম দেখলেই পাশে থাকা আমার অভ্যাস। যাদের প্রেমের পক্ষে কাজ করি তাদের সংসার টেকা, না টেকার দায়িত্ব আমার না। টিকে গেলে খুশি হই, ভেঙে গেলে কষ্ট পাই।

বহুদিন ধরে দেখছি, বাংলাদেশি প্রেমিকদের টানে ভিনদেশি মেয়েরা ছুটে আসছেন। ভালোবাসার ব্যাপার তো, ভালোই লাগছিলো। বাংলাদেশের ছেলেরা বারবার প্রমাণ করেছে প্রেমের প্রতি তারা বিশ্বস্ত। স্যালুট সফল প্রেমিকগণ।

তবে মেয়েদের ভালোবাসার ব্যাপারে আমার একটা ছোট অবজার্ভেশন আছে। তারা প্রেমও করবে, আবার অবুঝ প্রেমিকের সক্ষমতা নিয়ে খানিক পরেই দ্বিতীয় অপশনের উপস্থিতি জানান দিবে। পাত্র রেডি, ফ্যামিলি থেকে চাপ আছে, হাতে সময় কম, এখন তুমি কি করবে! সবাইতো আর আমার মত বীর প্রেমিক না, কেউ কেউ অসহায় প্রেমিকও হয়। ভালোবাসার হিসাব-নিকাশে খেই হারিয়ে ব্যর্থ প্রেমিকের খাতায় নাম লিখিয়ে বিরহবিধুর কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে এই অভাগাগুলো।

প্রেমাকান্ত নামের ছেলেটা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বৈধ পথেই বরিশালে এসেছে প্রেমের টানে। এসেই মেয়েটার লোকাল-ফরেন প্রেমিক কোটায় অপমানিত হয়েছে। বাংলাদেশি প্রেমিকরা বিদেশি মেয়েদের সঙ্গে সুন্দর সংসার করছে, অথচ তিন বছরের চলমান প্রেমে প্রেমাকান্ত ধোঁকা খেয়ে গেল। জল যতই ঘোলা হউক না কেন, আমার দাবি প্রেমাকান্তকে সম্মানজনকভাবে তার দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

একজন সলিড প্রেমিকের পক্ষ নেওয়া, পুরুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব। সরি প্রেমাকান্ত, দেশে ফিরে যাও। আর মনে রেখো, বাংলাদেশের প্রেমিকরা মেয়েদের চেয়েও বহুগুণে সলিড; প্রেমের ক্ষেত্রে। তুমি ভুল করেছো সেটা সমস্যা না, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে এটাই আশা করি। তেলের দাম ব্যাপার না, সব প্রেমকাতুরে প্রেমাকান্তের দলের জন্য ভালোবাসা অবিরাম।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *