শখের পোষা বিড়ালের মৃত্যুতে পরিবারজুড়ে শোক!

প্রায় দুই বছর আগে শখের বশে একটি বিদেশী প্রজাতির বিড়াল পালা শুরু করেন ভোলার লালমোহন পৌরশহরের ৩ নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির আব্দুস সাত্তার ও পারভীন নামের এক দম্পতি। দুই বছর ধরে ওই বিড়ালটিকে নিজেদের সন্তানের মত আদর যত্ন করে পোষেন তারা। যত্ন করে নামও রেখেছেন ‘ফুলতুসী। সাত্তার-পারভীন দম্পত্তির তিন সন্তানের কাছেও বিড়ালটি হয়ে ওঠেছিল খেলার সঙ্গী। রীতিমতো ওই সাদা রঙের বিড়ালটি যেন তাদের কাছে হয়ে ওঠেছিল পরিবারের আরেক নতুন সদস্য।

তবে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায় বিড়ালটি। এরপর থেকে পরম যত্নে দুই বছর ধরে লালন করা বিড়ালটির মৃত্যুতে শোক বইতে শুরু করে আব্দুস সাত্তার-পারভীন দম্পত্তির পরিবারজুড়ে। তাদের সন্তানরাও বিড়ালের মৃত্যুতে কেঁদে ওঠছে থেমে থেমে। আব্দুস সাত্তার পেশায় একজন সংবাদকর্মী। তিনি লালমোহন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

আব্দুস সাত্তার বলেন, প্রায় ৭ দিন আগ থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে বিড়ালটি। এরপর গত ৪ দিন আগে বিড়ালটির চিকিৎসার জন্য লালমোহন প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে নিলে বিড়ালটির নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তখন সেখানের ডাক্তার বিড়ালটিকে চিকিৎসা প্রদান করে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায় বিড়ালটি। বিড়ালের মৃত্যুর শোক সইতে পারছে না আমার সন্তানরা। তারা কিছুক্ষণ পরপর কান্না করছে বিড়ালটির জন্য। ফুলতুসি নামের বিড়ালটির মৃত্যুতে মন খারাপ আমার স্ত্রীরও। মৃত্যুর পর কোনো মতেই বিড়ালটিকে মাটিতে পুঁততে দিতে চাইছিল না সন্তানরা। তবুও জোর করে বিড়ালটির মৃত দেহের সঙ্গে নিজেদের দুই বছরের ভালোবাসাকেও মাটি চাপা দিতে বাধ্য হয়েছি।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *