বড় ঝুঁকি নিয়েই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার দ্বীপটিতে পা রেখেছিলেন মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।তাইওয়ানকে নিজের ভূখন্ড হিসেবে ধরে রাখতে মরিয়া বেইজিং এই সফর ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলো।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, চীনকেও আরেকটি যুদ্ধে টেনে আনা যায়- সেটিও হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। কারণ তাইওয়ান নিয়ে যদি যুদ্ধ বাধে সেটি হবে তাইওয়ানের ভূখন্ডে এই স্থানটিও যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডে থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে। তাদের ভূখন্ডে না পড়বে মিসাইল, না আসবে উদ্বাস্তুর ঢল। কিন্তু তাইওয়ানকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা দিয়ে ওয়াশিংটন ঠিকই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে পরোক্ষ লড়াই করবে।
তাইওয়ানে প্রথম পরিচিত বসতি স্থাপনকারীরা ছিলেন অস্ট্রোনেশিয়ান আদিবাসী গোষ্ঠীর লোকজন। আর এই গোষ্ঠীর সদস্যরা তাইওয়ানে পাড়ি জমিয়েছিলেন আধুনিক চীনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বলে ধারণা করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীন যদি কখনও তাইওয়ানে আক্রমণ চালায় তাহলে সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন।মে মাসে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে রক্ষা করবে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিবাচক জবাব দেন। এর পরপরই হোয়াইট হাউস তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে জানায়।
একই সঙ্গে ‘এক-চীন নীতির প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে হোয়াইট হাউস।তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের যেকোনও ধরনের আক্রমণ ‘গুরুতর উদ্বেগের’কারণ হবে।