নরসিংদীর মনোহরদীতে স্বপন মিয়া (২৬) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বীরগাঁও গ্রামের রমজান আলী রেনুর পুকুর থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত স্বপন পশ্চিম বীরগাঁও গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, বুধবার রাতে রাস্তার পাশে মুরগীর ফার্মে কাজ করছিলেন ওই গ্রামের রমজান আলী রেনুর ছেলে আল-আমিন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মানুষের গোঙরানির শব্দ পান তিনি। এসময় ঘর থেকে বের হয়ে একটি পরিত্যক্ত অটোরিকশা দেখতে পান। পরে টর্চ লাইট জালিয়ে অটোরিকশার অদূরে কয়েকজন লোক দেখতে পান। কাছে গিয়ে দেখেন অপরিচিত দুই ব্যক্তি স্বপন মিয়া শরীরের উপর উঠে তার দুই হাত চেপে ধরে রয়েছে।
এসময় একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকির হোসেন দৌঁড়ে এসে আল-আমিনের হাতে পায়ে ধরে বাড়ীতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে এবং টর্চ লাইটের আলো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। আল-আমিন বাড়ী ফিরতে না চাইলে জোড়পূর্বক ধাক্কাতে ধাক্কাতে বাড়ীর দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্বপন মিয়াকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে পুকুর পাড়ের দিকে নিয়ে যায় তারা। এ দৃশ্য দেখে আল-আমিন দ্রুত বাড়ীতে গিয়ে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে কাউকে পাননি।
পরে রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে পুলিশ এসে পরিত্যাক্ত অটোরিকশা থেকে তিনটি মুঠোফোন এবং একটি লুঙ্গি উদ্ধার করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রেনু মাস্টারের পুকুরে কচুরিপানার নিচ থেকে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যায় জড়িত জাকিরও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ডব্লিউজি/এমএ