পরিশ্রম আর বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করে চমক দেখালেন বরগুনার আঃ আলিম । গত বছর প্রায় ৭০ শতাংশ জমি থেকে আয় করেছেন ৩ লাখ টাকা।
বরগুনা সদর উপজেলার আঃ আলিম ইউটিউবে অসময়ে এমন বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি ভিডিও দেখে তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর আঃ আলিম নিজের ৭০ শতাংশ চাষ করেন তরমুজ।
বর্ষার মৌসুমে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন এই দুই ভাই। প্রতিটি তরমুজ গড় ওজন ২-৩কেজি। এমন তরমুজের খেত দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন হরহামেশাই। এ তরমুজ গুণে ও মানে খুবই ভালো এবং বেশ সুস্বাদু বলে জানান এলাকবাসী। মৌসুমী তরমুজের চাইতে মিষ্টি হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানান আলিম।
বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ বিষয়ে আঃ আলিম এর সাখে কথা বলে জানা যায়, অনলাইনে ঘেরের পাশে তরমুজ খেত দেখে অনুপ্রেরণা জাগে আঃ আলিম এর। সে মন স্থির করে বর্ষার মৌসুমে তরমুজ চাষ করবে। এরপর মাচা পদ্ধতিতে ৭০শতাংশ জমিতে বেড তৈরী করেন। বেড তৈরি করতে তাঁর খরচ হয় মাত্র ৩০ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকায় পাকিজা কোম্পানী তরমুজ বীজ কিনে বপন করেন।
বর্ষাকালে তরমুজ চাষের সুবিধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বছরের অন্য সময়ের চাইতে বর্ষাকালে তরমুজ চাষের সুবিধা হলো পানি দিতে হয় না। সার কম লাগে এবং মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করার কারণে খরচ নাই বললেই চলে। এই তরমুজ চাষের আরেকটি সুবিধা হলো কোন কিটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। বর্তমানে স্থানীয় লোকজন, সাংবাদিক ও দূর দূরান্ত থেকে তরমুজ ক্ষেত দেখতে অনেক লোক আসছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আঃ আলিম আমাদের পরিচিত কৃষক। গত বছর আঃ আলিম তরমুজ চাষ করে সাফল্য লাভ করছে। এবছরও তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। এ তরমুজের স্বাদ অনেকটাই বেশি।
তিনি আরো বলেন,আলীমের এ সাফল্য দেখে উপজেলার অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা বর্ষাকালীন সবজি চাষের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন ।