নড়াইলের সেই অধ্যক্ষকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ

পুলিশের সামনে জুতার মালা পরানো নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে  ৪৫ দিন পর ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

৩ আগোষ্ট (বুধবার) সকালে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে আসলে শিক্ষক, শিক্ষাথী ও জিবির পক্ষ থেকে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

এ সময় নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদার, রেজিষ্টার মোল্যা মাহফুজ, পরিচালক আইন সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভুলেশন রফিকুল আকবর, নড়াইল জেলা আওয়ামীরীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, কলেজের সভাপতি অ্যাড: অচীন কুমার চক্রবর্তী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান, বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক, জিবি সদস্য, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, সেদিনের ঘটনা কিছু যড়যন্ত্রকারি ঘটিয়েছিল আমি ভুলে যেতে চাই। সবাই আজকে আমাকে যে সন্মান দিয়েছে বিগতদিনের সবকিছু ভুলে সামনের দিকে এগিযে যেতে চাই।

উল্লেখ্য মির্জাপুর কলেজের এক ছাত্র ফেসবুকে ভারতের বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী মহানবী (সাঃ)কে কটুক্তিকারী নূপুর শর্মাকে প্রনাম জানিয়ে মির্জাপুর কলেজের এক ছাত্রের পোস্ট দেয়ার ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে ১৮জুন এক সহিংস ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ কলেজ ছাত্র রাহুলকে পুলিশের সামনে জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পর কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরসালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৭০/১৮০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন গ্রেফতার আছে। এরা সবাই এখন কারাগারে। এর মধ্যে মির্জাপুর কলেজেরই ছাত্রই রয়েছেন ৪জন।

ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ৩৬দিন কলেজ বন্ধ থাকার পর গত ২৪ জুলাই কলেজ খুললেও অধ্যক্ষ কলেজে যাননি। ৪৫ দিন  পর গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে ফিরলেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *