প্রেমের টানে আসা ফাতেমাও ফেরেন নিজ দেশে, বিয়ে করতে বললেন স্বামীকে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জুঙ্গলী গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে পাভেল (২৭)। ২০১৪ সালে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে সিঙ্গাপুরে যান। সেখানে পরিচয় হয় ফাতেমা নামের এক তরুণীর সঙ্গে। পাঁচ বছর পর পাভেল ফিরে আসেন দেশে। পাভেলের ভালোবাসার টানে সে সময় ওই তরুণীও চলে আসেন কুমারখালীতে। গ্রামে ধুমধাম করে বিয়েও হয় পাভেল-ফাতেমার। এরপর ভালোবাসার গল্পটা বেশি দূর এগোয়নি। মাত্র ২৬ দিনের সংসার ফেলে সিঙ্গাপুর চলে যান ফাতেমা। পাভেলের কাছে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে সময় করোনাভাইরাসের লকডাউনে ফিরতে পারেননি। পরে স্বামীকে নতুন করে জীবন শুরু করতে বলেন ফাতেমা।

স্বজনরা জানান, ২০১৪ সালে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে পাভেল সিঙ্গাপুরে যায়। ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরের আল জুনায়েদ শহরে কর্মসূত্রে পরিচয় হয় মুসলিম তরুণী ফাতেমার সঙ্গে। তিন বছরের পরিচয়ের একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। পাভেল দেশে চলে এলে ফাতেমাও তার সন্ধানে ছুটে আসেন কুষ্টিয়ায়। পরে পাভেলের পরিবার ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন।

পাভেলের বাবা লিয়াকত আলী ডব্লিউজিকে বলেন, পাভেলের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের তরুণী ফাতেমার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এরপর ফাতেমা বাংলাদেশে আসেন। পরে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২৬ দিন পর ফাতেমা সিঙ্গাপুরে ফিরে যান। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে সে দেশে লকডাউন শুরু হয়, ফাতেমা আর ফেরেনি।

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে ফেরত যাওয়ার কিছু দিন পরে ফাতেমা পাভেলকে জানায়, তার অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে, আর আসবে না। পাভেল যেন নতুন করে সংসার শুরু করে। এরপর বছর খানেকের মাথায় পাভেলও দ্বিতীয় বিয়ে করে। বর্তমানে পাভেলের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

ফাতেমার বিষয়ে কোনও অভিযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে লিয়াকত আলী বলেন, ফাতেমা অনেক ভালো একটা মেয়ে। তার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।

তবে এ বিষয়ে পাভেল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

চাঁদপুর ইউনিয়নের জুঙ্গলী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লিটন উদ্দিন বলেন, যতটুকু জানি বিয়ের পর ওই তরুণী সিঙ্গাপুর ফিরে গেছেন। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানা নেই।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *