ভোলার জাহিদের টেলিস্কোপ তৈরি

শৈশব থেকেই মহাকাশ বিষয়ে জানার তীব্র আকর্ষণ। স্বপ্ন ছিল একটি টেলিস্কোপ কিনে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করবেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে মহাকাশ বিষয়ে কিছু ধারণাও নেন। কিন্তু টেলিস্কোপের দাম তার সাধ্যের বাইরে হওয়ায় কিনতে পারেননি। পরে নিজেই টেলিস্কোপ তৈরির উদ্যোগ নেন।

ভোলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা। (বর্তমানে ব্যবসায়ী) মোহাম্মদ নূরানী ও আয়োশা বেগম দম্পতির সন্তান নাজমুল আহসান জাহিদ। ২০০১ সালে এসএসসি, ২০০৩ সালে এইচএসসি এবং পরবর্তী সময়ে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে বি-ফার্ম ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে সম্পন্ন করেন এম ফার্ম। পরে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত অবশেষে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ নিয়েছেন জাহিদ। পরে ২০২০ সালের দিকে করোনাকালীন লকডাউনে টেলিস্কোপ তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন।অবশেষে সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে ।

পাঁচটি অ্যাস্ট্রোনমি গ্রেডের নিউটনিয়ান টাইপ সোনিয়ান বেস টা এমন টেলিস্কোপে মিরর থাকে দুটি আইপিগ একটি আর এই টেলিস্কোপের নাম দিয়েছেন ‘ইন্টারস্টেলার’ (interstellar)। টেলিস্কোপগুলো বিক্রির ২০ দিন আগে interstellar bd নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেন জাহিদ আর সারা ও পান।

জাহিদের তৈরি টেলিস্কোপ এর কথা আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। তার টেলিস্কোপ দিয়ে চন্দ্রগ্রহণ, নক্ষত্র দেখতে তার বাড়িতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়, জাহিদের ভিতরে যে একটা প্রতিভা এ প্রতিভাকে সরকার সাহায্য-সহযোগিতা করে ধরে রাখা। এবং এর প্রতিভার শক্তি দিয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ অনেক উপকৃত হবে।

জাহিদের তৈরি টেলিস্কোপ অ্যাপারচার (ব্যাসার্ধ) ১৫০ মিলিমিটার (৬ ইঞ্চি) এবং ফোকাল লেনথ ৫৪৬-৭৫০ মিলিমিটার। বর্তমানে এমন হাই কোয়ালিটির বিদেশি টেলিস্কোপ দেশের বাজারে ৬০হাজার থেকে -১লাখ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু জাহিদ বিজ্ঞানচর্চাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে তার তৈরি টেলিস্কোপ বিক্রি করছেন মাত্র ৩০-৩৫ হাজার টাকায়।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *