নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও পিটিয়ে আহত করার ভিডওচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ । এর আগে গত ১৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই এলাকার ইউনুছের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,কালাদরাপ ইউনিয়নের ইউনুছের বাড়ির সীমানা নিয়ে পার্শবর্তী সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। গত ১৯ই জলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন (নুর চৌকিদার) বাড়িতে এসে ডাকা-ডাকি করে নিজেই সাহাব উদ্দিনের সীমানায় থাকা টিনের বেড়া সরিয়ে ফেলা শুরু করেন।
ওই সময় বাড়িতে পুরুষ না থাকায় গৃহবধূ টিনের বেড়া সরাতে বাধা দিলে নুর হোসেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গৃহবধূ রুনা আক্তারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ওই সময় রুনার চিৎকার শুনে দেবর সালাহ উদ্দিন তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২৬ জুলাই ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন বলেন,আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বার আবু তাহেরের নির্দেশে সাহার উদ্দিনের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করতে যাই। ইউনুছের স্ত্রী আমাকে বাধা দেয়, তাই আমি তাকে সরাতে টিনে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি চৌকিদার কে সীমানা বুঝিয়ে দিতে বলি। সে মহিলাকে আঘাত করেল এটা তার ব্যাপার।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, এটাতো জায়গা জমির ঝামেলা । চৌকিদার কোন অন্যায় করলে এটার দায়ভার তার।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডব্লিউজি/এএইচ