পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের শূন্য পদের উপনির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে ইসির এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুকের বিষয়ে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস.এম মহসীন একাধিকবার রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অফিসার ইনচার্জ, বাউফল থানাকে চিঠি দেন। কিন্তু ওসি কোনো প্রতিবেদন প্রদান করেননি।
অধিকন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের একজন সমর্থক জোবায়দুল হক ওরফে রাসেল ২৩ জুলাই এক উঠান বৈঠকে ‘ভোট হবে ইভিএমে কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে’ মর্মে বক্তব্য প্রদান করেন।
নির্দেশনার পরও বাউফল থানার ওসি তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ায় এবং প্রার্থীর সমর্থকের ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
ইসির প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। এ প্রেক্ষাপটে ইসি নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া ওই বিষয়টি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, বরিশালকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নৌকার সমর্থনে উঠান বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা যোবায়েদুল হক রাশেলের দেওয়া এক বক্তব্য ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া সেই বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, ভোট হবে ইভিএমে। সেখানে কে কোথায় ভোট দেবেন, তা আমাদের কাছে চলে আসবে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। টেনশনেরও কোনো কারণ নেই।
এ বক্তব্যে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এমনকি ইভিএমে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। একইসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ নেতার এ ধরনের বক্তব্যে প্রশাসনও বিভ্রান্তিতে পড়ে।