বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। আইটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে ভারত সরকার। বাংলাদেশের হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইটি খাতে যৌথভাবে কাজ করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে ভারত।
রোববার (২৪ জুলাই) সকালে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল এলাকায় হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, উভয় দেশের মধ্যকার অকৃত্রিম ও পরীক্ষিত বন্ধুত্বের কারণে ভারত সরকার বার্ষিক বিনিয়োগের এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে। ভবিষ্যতে এই বিনিয়োগের আওতা ও পরিধি বহু গুনে বাড়বে। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার।
হাই-টেক পার্ক উদ্বোধন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাই-টেক পার্ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রতি বছর এক হাজার প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এ লক্ষ্যে সর্বাধুনিক অবকাঠামোসহ একটি উন্নতমানের ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে।
পলক বলেন, সরকারের লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম যেন উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার দক্ষ জনবল তৈরিতে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করছে। তরুণ প্রজন্মই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবোটিকস, আইওটিসহ সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি ও রপ্তানি করবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এন জিয়াউল আলম বলেন, ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করবে এই হাই-টেক পার্ক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, প্রকল্প পরিচালক কে এ এম ফজলুল হক, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রমুখ।
ডব্লিউজি/এমএ