দ্বিতীয় নয়, এটি পূর্ণিমার তৃতীয় বিয়ে!

গত ২১ মে ফের বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। সে খবর তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন বৃহস্পতিবার। পূর্ণিমার নতুন স্বামীর নাম আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি পেশায় একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কমকর্তা। পারিবারিকভাবে পূর্ণিমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তারা রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় থাকছেন।

সবাই জানে, আশফাকুর রহমান রবিন পূর্ণিমার দ্বিতীয় স্বামী। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও এমন খবর ছাপা হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পূর্ণিমা বিয়ে করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ জামাল ফাহাদকে। সে সংসারে নায়িকার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, নাম আরশিয়া উমাইজা। সে বর্তমানে তার মায়ের সঙ্গেই থাকে।

কিন্তু জানেন কি, সাবেক স্বামী আহমেদ জামাল ফাহাদের আগেও একজনকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা? হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মোস্তাক কিবরিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রথম বিয়ে করেছিলেন নায়িকা। খবরটি তখন গোপন রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশিদিন টেকেনি সেই বিয়ে। ২০০৭ সালের ১৫ মে বিচ্ছেদ ঘটে পূর্ণিমা ও মোস্তাকের।

সে সময় গণমাধ্যমকে এই খবরের সত্যতা পূর্ণিমাই নিশ্চিত করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, বিয়ে করেছিলাম, তালাকও হয়ে গেছে। আমার জীবনের চরম ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দিলাম। এই খবর তখন যেসব গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছিল, তারই একটি পেপার কাটিং ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ব্যবসায়ী মোস্তাকের সঙ্গে পূর্ণিমার ডিভোর্সের খবরও ছাপা হয়েছিল।

সেই ডিভোর্সের বিবরণীতে উল্লেখ ছিল, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের অমিল হওয়ায় যা শরিয়তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বিধায় অদ্য ১৫-০৫-২০০৭ তারিখ আমি নিম্নসাক্ষরকারী মোস্তাক কিবরিয়া স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় দিলারা হানিফ রীতাকে (পূর্ণিমার প্রকৃত নাম) বয়ান করিয়া বিবাহবন্ধন ছিন্ন করিলাম।

তার আগে মোস্তাক কিবরিয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন ডলির কাছে হাজির হয়ে তালাকের হলফনামায় স্বাক্ষর করেন। হলফনামা শনাক্ত করেন ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

হলফনামায় মোস্তাক উল্লেখ করেন, ‘বিবাহের পর হইতেই পূর্ণিমা আমার কথা শোনে না, বেপর্দায় চলাফেরা ও ওঠাবসা করে এবং তাহার যে দায়িত্ব তাহা সে সঠিকভাবে পালন করে না। এমতাবস্থায় তাহাকে সঠিক পথে ফিরাইয়া আনিবার অনেক চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হই। যাহার ফলে আমার উপরোক্ত স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার স্থির সিদ্ধান্ত নেই। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৮নং অডিন্যান্সের ৭ ধারার ১ উপধারা মোতাবেক দিলারা হানিফ রীতাকে ১, ২ ও ৩ তালাকে বাইন দিয়া দিলাম।

এই মোস্তাক কিবরিয়া ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বিয়ের আগে পূর্ণিমার সঙ্গে অবাধে চলাফেরার কারণে চলচ্চিত্র জগতে তার বিশেষ পরিচিতি ছিল। এফডিসিপাড়ায় অনেকে তাকে অঞ্জন নামে চিনতেন। ২০০৭ সালে মোস্তাকের সঙ্গে ডিভোর্সের মাত্র দুই মাসের মাথায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *