পাবনায় সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন, ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা

দেশে পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। দেশীয় অর্থনীতির কৃষিখাতে যার বড় একটি ভূমিকা সর্বদাই পরিলক্ষিত। এছাড়া ভুমিকা রাখছে বস্ত্র শিল্পের মত অন্যান্য উৎপাদন শিল্পেও মাঝে কিছু সময় পাট চাষে দুর্দিন দেখা গেলেও অনুকুল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হওয়ার আশায় আবার নতুন করে পাটচাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষীরা।

পাবনার প্রায় সবকয়টি উপজেলাতেই রয়েছে পাটের আবাদ। মৌসুম ভেদে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকের জমিতে পাটের সবুজ ডগা দুলতে দেখা গিয়েছিলো এবার। সেই ডগা এখন কেটে ঘরে তোলার উপযোগী হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। আশানুরূপ বাজারমূল্য মিললে ঘুচবে দুঃখ। তাতে খুশি চাষীরা। এই খুশির মাঝে বাধ সেধেছে খড়া ও অনাবৃষ্টি। চলমান বর্ষা মৌসুমে কয়েকটি বিল এলাকায় কিছুটা পানি থাকলেও প্রচন্ড খরা আর অনাবৃষ্টির ফলে অন্যান্য এলাকাগুলোর অধিকাংশ নদী,নালা,খাল ও বিলে নেই পর্যাপ্ত পানি। যার কারণে পাট পঁচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চাষীরা। এর ফলে সঠিক সময়ে ঘরে তোলা ও বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

এব্যাপারে চাটমোহরের চাষী হারুন মিয়া বলেন, ৫-৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। ফলনও ভালোই হয়েছে কিন্তু নদী নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এগুলো পঁচানো সমস্যা হচ্ছে।

সুজানগরের চাষী সামাদ মালিথা বলেন, অনেকদিন ধরে বেজায় খরা যাচ্ছে। নদী নালাসহ খালগুলিতেও পানি নাই। যার জন্য পাট ঘরে তোলা অসুবিধা হচ্ছে।

এবিষয়ে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলম জানান, সমস্যাটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বেড়া, সুজানগর, ফরিদপুর ও চাটমোহরের অধিকাংশ জায়গায় আমরা পানি বিষয়ক সমস্যা অনেকটাই নিরসন করেছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টি হলেই এ সমস্যা সমাধান আরো সহজ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য পাবনার প্রায় নয়টি উপজেলাতেই পাটের আবাদ রয়েছে। বিশেষত সুজানগর ও চাটমোহরের মত বিল এলাকায় এর বেশি আবাদ রয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় এবার মোট ৪৫ হাজার হেক্টরেরও অধিক জমিতে পাটের আবাদ রয়েছে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *