“বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান
আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান।”
একসময় আবহমান বাংলার বুকে বর্ষার মেঘমালার সাথে কদম ফুলের পরিস্ফুটন যেনো এক নতুন মাত্রা যোগ করতো। এখন কদম ফুলের অস্তিতও খুব একটা নেই, নেই বর্ষার দাম্ভিকতা। ছোট বেলায় বর্ষা ঋতু ছিল চারদিকে থৈ থৈ পানি প্রবাহ। আষাঢ়ের ঘনঘটা এবং শ্রাবণের বাদল ধারা, সব কিছুই ছিল অন্য রকম গল্পকথা। বর্ষার কদমফুলের ভালোবাসা আজও শিহরিত করে। ছোট বেলায় বর্ষা মৌসুম এলেই আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে থাকতো। আমরা স্কুল ছুটি শেষে বিকালে সবাই হাটু পানিতে ফুটবল খেলতাম। স্কুলে যাবার পথে কখনো কখনো ভিজতে হতো। শৈশবে বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে এক নতুন আনন্দের সৃষ্টি হতো। বৃষ্টিতে ভেজা, বিলে মাছ ধরতে যাওয়া সব মিলিয়ে বর্ষাকালীন সময়টা মধুময় ছিল।
এখনকার যান্ত্রিক জীবনে বর্ষাও অভিমান করেছে। আষাঢ় শেষে শ্রাবণ চলছে, তবুও বৃষ্টি আসার কোন আমন্ত্রণ নেই। কি শহুরে আর কি গ্রামে, শ্রাবণের উষ্ণতায় প্রাণ যেন যায় যায়। তবে এ কোন শ্রাবণ? এ কোন উষ্ণতা? এ কোন রুক্ষতা?
মিরন আহমেদ
সাংবাদিক, ঢাকা