সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি গ্রামসহ ৯টি গ্রাম বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে গেছে। খরশ্রোতা খোলপেটুয়া নদীর দূর্গাবাটিতে ৪০ ফুটের বেশী ভাঙনে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটি, পূর্ব দুর্গাবাটি, পশ্চিম পোড়াকাটলা, পূর্বপাড়া কাটলা, আড়পাঙ্গাশিয়ার একাংশ, ভামিয়া গ্রামের একাংশ,দাতিনাখালি গ্রামের একাংশ এবং মাদিয়া ৯ টি গ্রামের উপর দিয়ে জোয়ার ভাটা বইছে। ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার বিঘা জমিতে শতশত চিংড়ি প্রকল্পের রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ ভেসে গেছে।কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির পুকুরগুলো লোনা পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে । গবাদি পশুর জন্য রক্ষিত খড়ের গাদা ভেসে গেছে।
এছাড়া জোয়ারের পানির চাপে সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে আরও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপকুলের মানুষ।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, শুক্রবার সকালে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি গ্রামসহ একাধিক গ্রাম বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে গেছে। খরস্রোতা খোলপেটুয়া নদীর দূর্গাবাটিতে ৪০ ফুটের বেশী ভাঙনে দূর্গাবাটি, আড়পাঙাশিয়া, পোড়াকাটলার মাছের ঘের, ফসলী জমি প্লাবিত ঘরবাড়িতে ঢুকছে বেড়িবাঁধ ভাঙা জোয়ারের প্রবল পানির প্লাবিত। ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিক বালুর বস্তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম জানান, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি গ্রামসহ একাধিক গ্রাম বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে গেছে। খোলপেটুয়া নদীর দূর্গাবাটিতে ৪০ ফুটের বেশী ভাঙনে দূর্গাবাটি, আড়পাঙাশিয়া, পোড়াকাটলার মাছের ঘের, ফসলী জমি প্লাবিত ঘরবাড়িতে ঢুকছে, পানির এছাড়া বহু জায়গায় বাঁধ দেবে গেছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি মেরামত করা না গেলে আসছে জোয়ারে আরও অন্যান্য ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে।
ডব্লিউজি/এএইচ