লোহাগড়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দু বাড়িতে হামলা এবং আগুন দেয়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই গত শুক্রবার বিকেলে এই জেলার লোহাগড়ায় ফের সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার আগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টের নিচে বিতর্কিত ধর্মীয় মন্তব্য করার অভিযোগ তোলা হয়।
তবে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করছেন, ওই শিক্ষার্থী এরকম ধর্মীয় কোনো ধরনের পোস্টে মন্তব্য করেনি। এটা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার নাম এবং ছবি দিয়ে করা হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পনা করেই হয়তো লুটপাট, ভাংচুরও আগুন দেয়া হয়েছে। এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ই জুলাই ফেসবুকে করা ওই পোস্টের নিচের মন্তব্যের জের ধরে পরের দিন বিকেলে এলাকার লোকজন ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে ৫/৬টি ঘর ভাঙচুর করে পরে একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘর পুড়ে যায়। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার সাউন্ডবক্স ভাঙচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফোর্স ও ব্যাবে মোতায়েন করা হয়।
শনিবার (১৬ জুলাই) লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মিলন ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। আমরা ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ হেফাজতে রেখেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।
ডব্লিউজি/এমএ