মেঘনার তীরে জমজমাট বিনোদন কেন্দ্র যেন “মিনি কক্সবাজার”

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ভ্রমণপ্রেমী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দিন বিকেল থেকে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত উপজেলার আলতাফ মাস্টার ঘাট, মোল্যা এন্ড সরদার পর্যটন কেন্দ্র ও রাহুল ঘাটে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন কেন্দ্র পরিচালকদের কাছ থেকে জানা যায়, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী থেকে প্রতিনিয়ত ঘুরতে আসছেন পর্যটকরা। এই ধারা আরো ৩-৪দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে নান্দনিক কয়েকটি খাবার হোটেল।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আলতাফ মাষ্টারের ঘাট এলাকায় মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে ভ্রমণ স্পট। যা স্থানীয়ভাবে মিনি কক্সবাজার নামেও খ্যাত “। তবে এবারই সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছে পুরো ঘাট।

স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, এখানে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা থাকে প্রায় সময়। হাতের কাছে এমন সুন্দর, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে রাজধানীসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই স্থান। মেঘনা নদীর কোল ঘেঁষা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নিরিবিলি এই স্থানে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। নদীর কল কল ধ্বনি, স্নিগ্ধ বাতাস, আকাশ আর নদীর পানির মিতালি তে অপরূপ লাগে এই পর্যটন স্পট। এখানে আসার উত্তম সময়ই হলো শীতকাল। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য বিহীন প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্যমাখা গ্রামীণ পরিবেশে বনভোজনের স্থান হিসেবেও নির্বাচন করতে পারেন। নদীতে ভ্রমণ করার মত নৌকার ব্যবস্থা সব সময় না থাকলেও স্থানীয় নৌকা মালিকদের সাথে আলাপ করে তা ব্যবস্থা করা সম্ভব।

পর্যটন স্পটকে ঘিরে এখানে আশেপাশে ভালো মানের কয়েকটি খাবার হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। তাই খাবার উপভোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগেরও সুযোগ মেলে খুব সহজেই।

সরেজমিন ঘুরে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন কোন পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় ভ্রমণপ্রেমী লোকজন নিরুপায় হয়ে রায়পুরের পশ্চিমাঞ্চলে মেঘনা তীরবর্তী উল্লেখিত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান। দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ভ্রমণপিপাসু লোকজন।

সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বি.এস.সি বলেন, ‘সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে এসব পর্যটন কেন্দ্রের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য সু-পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হলে পর্যটকদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতে পারে বলে মনে করি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মনযোগী হলে এ এলাকা গুলো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

মাষ্টার ঘাটের কর্নধার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি আরো বলেন, রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদী ও ডাকাতিয়া নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বৈচিত্রের সমাহার। মাছ ঘাট থেকে এটি এখন বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *