রায়পুরের বিএনপি-ছাত্রদলের সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার খাসের হাট বাজারের প্রধান সড়কের উপর ছাত্রদলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।পরবর্তীতে পুলিশ যোগ দেয় সংঘর্ষে। এসময় চেয়ার ভাংচুরসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। এখনও এলাকায় আতংক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উত্তর চরবংশি ইউপির খাসেরহাট বাজারের প্রধান সড়কের উপর এ ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে রায়পুর থানা ও চরবংশি ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহতদের মধ্যে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা ফারুক আহাম্মদ কবিরাজ ওসদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমানসহ চারজন নেতা এবং চরবংশি ইউপি যুবলীগ নেতা পান্নু মাঝি ডালিম খান, ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন কবির তালহা ইসলাম ও ইমন খলিফা। সবাইকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটকও করেনি।।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার ও ছাত্রলীগ নেতা তালহাসহ-স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর চরবংশি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ফারুক আহাম্মদ কবিরাজ সম্প্রতি নবগঠিত উপজেলা ছাত্রদল কমিটির সংবর্ধনা ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন খাসেরহাট বাজার সড়কের উপর। এতে অতিথি হিসেবে জেলা ছাত্রদল সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রায় ৫’শ নেতা-কর্মী অংশগ্রহন করেন।

এসময় পুলিশ সুপার ওই স্থান দিয়ে মেঘনা নদীর সংলগ্ন মাস্টারের ঘাট এলাকায় যাওয়ার পথ বন্ধ দেখতে পেয়ে তা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন ওসি ও ফাঁড়ি পুলিশকে। এসময় ওসি বিএনপির নেতা কর্মীদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা দেন। তারা তা না মেনে উশৃংখল শ্লোগান দিতে থাকে। পরে চরবংশি ইউপি যুবলীগ নেতা পান্নু মাঝি, ডালিম খান, ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন কবির,তালহা ইসলাম ও ইমন খলিফার নেতৃত্বে আ’লীগের প্রায় ২০/৩০ নেতা-কর্মী বিএনপি, ছাত্র-যুব দলের ৫ শতাধিক নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৮জন আহত হয়েছে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চরবংশি ইউপি বিএনপি নেতা ফারুক আহাম্মদের আহবানে শান্তিপূর্ন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করছিলাম। হঠাৎ আ’লীগ’র ৩০/৪০ জন সশস্র নেতা-কর্মী আমাদের উপর হামলা করে প্রচুর চেয়ার ভাংচুর চালিয়ে অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে দেয়। আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। আমাদের চার নেতা আহত হয়। দলের উর্দ্ধতন নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে মামলার বিষয় জানান হবে।

রায়পুর উত্তর ও দক্ষিন চরবংশি ফাঁড়ির ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান, পুলিশের অনুমতি না নিয়ে বিএনপি খাসেরহাট বাজারের সড়কের উপর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করে। এতে তাদের নিষেধ করলে তারা না শুনে উল্টো বাজে শ্লোগান দেয়। পরে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এঘটনায় কোন মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে আটক করাও হয়নি

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *