ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দশম জয়ে সিরিজ টাইগারদের

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দশম ম্যাচ জয় এবং সপ্তম সিরিজ জয়।

লক্ষ্য মাত্র ১০৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মামুলি লক্ষ্য টপকাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। সহজেই ৯ উইকেটে জয় তুলে নেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা।

আজ বুধবার গায়ানায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে ১০৮ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ এক উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে।

তামিম ইকবাল ৫০ রানের একটি হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে মূল অবদান রাখেন। ৬২ বল খেলে সাতটি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। লিটন দাস ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাজমুল হোসেন শাস্ত ৩৬ বলে ২০ রান করেন।

এর আগে লাল-সবুজের দলের স্পিনারদের দাপটে স্বাগতিকরা অল্প রানে গুটিয়ে যায়। অবশ্য শুরুতে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১১তম ওভারে গিয়ে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সাজঘরে ফেরান কাইল মায়ার্সকে। সাজঘরে ফেরার আগে মায়ার্স ৩৬ বলে বলে ১৭ রান করেন।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্য আরও দুটি উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় শামার ব্রুকসকে এবং ৪২ রানের মাথায় শাই হোপকে আউট করেন তিনি। তাই শুরুটা কিছুটা সতর্ক হলেও হঠাৎ চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা।

শামার ৫ এবং হোম ১৮ রান করে আউট হন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান কোনো রান করে সাজঘরে ফেরেন নাসুমের তৃতীয় শিকার হয়ে।

দলীয় ৬৯ রানের মাথায় পেসার শরিফুল ইসলাম তুলে নেন পঞ্চম উইকেট। তিনি রোভম্যান পাওয়েলকে (১৩) আউট করেন মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে।

দলীয় ৭২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। মিরাজ ফেরান ব্রেন্ডন কিংকে। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১১ রান। পরের বলে আকিল হোসেন রান আউট হন। ইনিংসের শেষ এবং ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন সিরাজ। গুড়াকেশ মোটিকে আউট করেন তিনি।

এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট পেতে পারতেন পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে বল মিস করেছিলেন শাই হোপ। বল গ্লাভসে নিতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। বল না ধরেই স্টাম্প ভেঙেছেন। তাই দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন শুরুতেই।

এদিন মিরজ ২৯ রানে চার উইকেট তুলে নেন এবং নাসুম ১৯ রানে নেন তিন উইকেট। শরিফুল ও সৈকত একটি করে উইকেট পান।

২০১৮ সালের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে কোনো ওয়ানডেতে হারেনি বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ২০টি, হেরেছে ২১টিতে। দুটি পরিত্যক্ত হয়।

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *