সিরিজ হারল বাংলাদেশ

কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১০ বল বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ‍্য দেয় বাংলাদেশ। জবাবে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারায় ক্যারিবিয়রা। এর আগে তারা টেস্ট সিরিজও জেতে ২-০ ব্যবধানে।

১৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে স্বাগতিকদয়ের হয়ে ওপেন করতে নামেন ব্রেন্ডন কিং এবং কাইল মেয়ার্স। দলীয় ৯ রানের মাথায় ব্রেন্ডন কিংকে ফেরান নাসুম আহমেদ। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন কিং। এরপর জুটি বাধেন কাইল মেয়ার্স ও সামারাহ ব্রুকস। দলীয় ২২ রানের মাথায় মেহেদীর বলে বিজয়ের ক্যাচ হয়ে ফেরেন ব্রুকস (১২)। পাওয়ারপ্লেতে দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন আক্রমণ করে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ২২ রানে মধ্যেই ২ উইকেট হারানোর পর সপ্তম ওভারে বল করতে এসেই স্মিথকে ফেরান সাকিব। ৪ বলে ২ রান করে স্মিথ যখন ফিরছেন উইন্ডিজের সংগ্রহ তখন মাত্র ৪৩ রান।

এরপরই কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরানের ৫১ বলে ৮৫ রানের জুটিতে ভর করে ক্যারিবীয়রা জয়ের বন্দরে নোঙর করে সহজেই। মেয়ার্স ১৫তম ওভারে ৩৮ বলে ৫৫ রান করে যখন ফিরছেন তখন উইন্ডিজের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ৩৬ রান। এরপর রভমান পাওয়েল ৯ বলে ৫ রান করে ফিরলেও বাকি কাজটা সারেন পুরান। ৩৯ বলে ৭৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেললে ১০ বলে হাতে রেখেই স্বাগতিকদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় ক্যারিবিয় অধিনায়ক। এতেই ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান, সাকিব আল হাসান এবং আফিফ হোসেন।

এর আগে শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে বেশি রান তুলতে পারেননি তারা। ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফকে নিয়ে দলকে টেনে তুলেন লিটন। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজে ছুটেছিলেন অর্ধশতকের দিকে। তবে ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে আউট হন ৪৯ রানে। তার বিদায়ে ভাঙে আফিফের সঙ্গে গড়া ৫৭ রানের পার্টনারশিপ।

লিটনকে হারিয়ে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন আফিফ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়তে থাকেন তিনি। তাতে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পেয়ে যান। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে থেকে দৌড়ে ২ রান নেওয়ার পথে রান আউটে কাটা পড়েন। যদিও ১ রান পূর্ণ করার পর ৩৮ বলে অর্ধশতকের স্বাদ পান তিনি। আফিফ ফেরার এক বল আগেই ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ালশকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন কাজে আসেনি। ২০ বলে ২২ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ২ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৬ বলে ১০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৩ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ দল। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ওডিন স্মিথ এবং রোমারিয়া শেপার্ড।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *