মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে একদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে পাভেল মিয়া (২৭) নামে এক যুবককে বুধবার (৬ জুলাই) সকালে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার কুমড়াকাপন গ্রাম থেকে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক পাভেল উপজেলার আলীনগর বস্তী এলাকার মাহমুদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় দুজনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে স্কুল ছাত্রী আলীনগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ধলাই নদীর নতুন ব্রীজের উপরে পৌঁছামাত্রই প্রাইভেটকার চালক পাভেল মিয়া ও তোয়াহিদ মিয়া (২০) একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারে করে স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরন করে উপজেলার আলীনগরসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। বিকেল ৪ টায় অভিযুক্ত তোয়াহিদ মিয়া কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুল ছাত্রী গাড়ি থেকে নামতে চাইলে চালক পাভেল তাকে ভয় দেখিয়ে মৌলভীবাজার শহর ও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘোরি করে রাতে উপজেলার শমসেরনগরের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশের রাবার বাগানে নিয়ে গাড়িতেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে চালক পাভেল তাকে শমসেরনগরের কেছুলুটি গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে রাখে। পরের দিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে রাবার বাগানে নিয়ে পুনরায় গাড়ির ভিতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় কৌশলে গাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রীকে নামানোর চেষ্টা করলে তার বাবাসহ এলাকার লোকজন পাভেল মিয়াকে তার প্রাইভেটকারসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আটক পাভেলকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (বুধবার) সকালে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
ডব্লিউজি/এএইচ