নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পুর্ব শক্রতার জের ধরে পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে বৃদ্ধা শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীকে (৬৮) নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন সানাজ (৪৫) সে উপজেলার চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত আজাহার আহমেদের ছেলে এবং চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে স্থানীয়রা জানান।
রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার থানারহাট বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম ডব্লিউজি’কে জানান, রোববার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধের ছেলে ইউপি সদস্য মো.রিপন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৮-১০জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে এ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য,মসজিদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত শনিবার ২ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা উপজেলার থানারহাট সংলগ্ন আমানতগঞ্জ এলাকায় এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় থানারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তার শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী।
যাত্রাপথে থানারহাট টু সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন মাইকওয়ালার বাড়ির সামনের সড়কে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিনের পথ রোধ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মুখ বেঁধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার বাবার পায়ুপথে একটি টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে চলে যায়।তার জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং রোববার ভোরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।রোববার সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চালিয়ে টর্চলাইটটি বের করে ডাক্তাররা।বর্তমানে রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডব্লিউজি/এএইচ