সাতক্ষীরায় দেশব্যাপী শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নড়াইলের মীর্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতোর মালা পরানো ও আশুলিয়ার শিক্ষক উৎপল সরকারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যাসহ দেশব্যাপি শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরার সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে শনিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন ’৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সুভাষ সরকার। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, মুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম, জাসদ নেতা প্রভাসক ইদ্রিস আলী, বাসদ নেতা শিক্ষক নিত্যানন্দ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জী, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাবেক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, আওয়্মাী লীগ নেত্রী ও প্রধান শিক্ষক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ট বিহারী মন্ডল, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সিপিবি নেতা আবুল হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, অধ্যাপক আনিসুর রহিম. এড. ইব্রাহীম লোদী, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, নিত্যানন্দ আমিন, সাংবাদিক মুনসুর রহমান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সাত্তার, এড. মুনিরউদ্দিন, রুবেল হাসান, আলী নুর খান বাবুল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড এবং তা নির্ভর করে শিক্ষকদের অবদান ও সুশিক্ষার উপর। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে একশ্রেণীর উগ্র মানুষের দ্বারা শিক্ষকরা ভিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ঘটনা পরস্পরে দেখা যায়, এসবের পিছনে ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্ণিতি, নিয়োগ বনিজ্য সহ বিভিন্ন ঘটনার যোগসাজস রয়েছে।

সেক্ষেত্রে ধর্ম অবমাননা বিষয়টিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি¦ এবং মুক্ত চিন্তার মানুষ। দিন দিন লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে তালেবানি রাষ্ট্রের দিকে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, নারায়নগঞ্জের শ্যামল কান্তি ভদ্র একজন স্কুল শিক্ষক, যাকে কান ধরে উঠাবসা করানো হয়েছে সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে। ঢাকার ফার্ম গেটের লতা সমাদ্দার কলেজ শিক্ষিকা লতা সমাদ্দার, মুন্সিগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় মন্ডল নওয়গাঁর সহকারি প্রধান শিক্ষক আমোদিনি পাল, চট্টগ্রামের শিক্ষক সঞ্জয় সরকার ও উমেশ রায়কে এবং মিল্টন তালুকদারকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। নড়াইল জেলা সদরের মীর্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্ব্সাকে পুলিশের উপস্তিতিতে জুতার মালা পরানো হয়েছে।

আশুলিয়ার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাজী ইউনুস আলী কলেজের একজন প্রভাষক। সাম্প্রদায়িকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এমেরিটাস অধ্যাপক ও পদার্থ বিজ্ঞানী অরুন কুমার বসাক। এসব ঘটনার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *