ঝিনাইদহ এখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গুলোর মধ্যে পশু পালনের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে। এখানে প্রতিবারই কোরবানির হাটে ওঠে চোখ ধাঁধানো বড় মাপের গরু। এ লক্ষ্য নিয়েই অনেকে বড় ওজনের গরু লালন পালন করে থাকেন। ঝিনাইদহের কোরবানির হাটে সবচেয়ে বড় ও দামি গরু দেখতে দেশবাসীর আগ্রহ কম থাকে না। আর এবারে সেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ফ্রীজিয়ান জাতের ৪০ মণ ওজনের গরু ‘দাদারাজ’।
কোরবানি উপলক্ষে এ গরুটি লালন পালন করছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের ব্রাদার্স এগ্রো ফার্মের মালিক ফিরোজ হোসেন। শখ করে তিনি গরুটির নাম রেখেছেন দাদারাজ। তিন বছর বয়সী এ ষাড়টির ওজন হবে প্রায় ৪০ মণ। দাম হাকা হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। ফিরোজ হোসেনের খামারে জন্ম নেওয়া এ গরুটিকে প্রতিদিন খড়, গমের ভুষি, নেপিয়ার ঘাসসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়। বিশাল আকৃতির দাদারাজকে দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফার্মের মালিক ফিরোজ হোসেন জানান, মাত্র একটি গাভী দিয়ে ব্রাদার্স এগ্রো ফার্মের যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। এখন তার ফার্মে ৪০ মণ ওজনের ষাড়সহ ছোট বড় ১৫টি গরু রয়েছে। জেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন মানুষের প্রধান আয়োর উৎস হয়ে উঠেছে গরু প্রতিপালন। ঘরে ঘরে দেশি বিদেশী জাতের গরু এক শ্রেনীর মানুষকে সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোজিত কুমার জানান, শৈলকপুার দাদারাজকে সুস্থ-সবল রাখতে ও দাম ভালো পেতে প্রতিনিয়ত অফিস থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় বাজার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ভারতীয় গরু আমদানি না করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ঝিনাইদহের খামারিরা।
ডব্লিউজি/এএইচ