পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় বিএনপি খুশি না: তথ্যমন্ত্রী

বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। কিছুক্ষণের মাঝেই মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সপ্নের এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এই সপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শনিবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনন্দন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা। এর মাধ্যমে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, তারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল। এ সেতু হওয়াতে সারা দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হয়নি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে নিজে অনুভূতি জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ছোট বেলায় ঈদের আনন্দ যেমনটা হতো, আজ আমার অনুভূতি ঠিক সেই রকম। তার চেয়েও বেশি। সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা।

সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বৃহত্তম স্ব-অর্থায়নকৃত এ মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সময়সূচী অনুযায়ী মাওয়া পয়েন্টে সকাল ১১টায় তিনি স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করবেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ হলেও সেতুর ওপর দিয়ে পরদিন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সেতুটি রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই সেতু দিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *