বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। কিছুক্ষণের মাঝেই মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সপ্নের এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধীসামবেশস্থলে হাজির হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিরা।
আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে লুঙ্গি পরে হুইল চেয়ারে করে মাওয়াপ্রান্তে সমাবেশস্থলে হাজির হন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজকে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের যোগসূত্র, প্রধানমন্ত্রীরে সাহসী উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি, সেজন্য আমরা আনন্দিত। তবে ওনার কাছে আমার একটাই আবেদন থাকবে, এই পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যেন টোল ফ্রি থাকে, আর বিদেশিদের জন্য ডবল ট্যাক্সের ব্যবস্থা থাকে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেশের গণতন্ত্রের দিকে নজর দিতে হবে।
বিএনপির ৭ জনকে দিয়েছিল, সেটা ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি বলতে পারবো না। আমাকে দাওয়াত দিয়েছে সেজন্য আমি খুশি। আমি মনে করি খালেদা জিয়াকে আজকে দাওয়াত দেওয়া উচিত ছিল। তাকে জামিন দিয়ে, এখানে তার আসা উচিত ছিল। ভালো কাজের প্রশংসা করি, করতে হবে। এসময় জাফরুল্লাহর বলেন, আমি চাই তিনি যেন একটা খোলা জিপে করে পদ্মা সেতু পার হন। সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন।
এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা।
সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বৃহত্তম স্ব-অর্থায়নকৃত এ মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সময়সূচী অনুযায়ী মাওয়া পয়েন্টে সকাল ১১টায় তিনি স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করবেন।
ডব্লিউজি/এএইচ