জামালপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রীসহ ৩ জন খুন

দাম্পত্য কলহের জেরধরে ৩ জনকে খুন করেছে মিন্টু মিয়া নামে এক ঘাতক। বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও ঘটনাস্থল পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার কোশলনগর পুটল গ্রামে ১ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘাতক মিন্টু মিয়াকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী।

পুলিশ জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী গারামারা গ্রামের হাইম উদ্দিনের ছেলে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তারা দুই সন্তানের জননী। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো। কলহের জের ধরেই মনিরা বেগম স্বামীর সাথে অভিমান করে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। স্ত্রী মনিরা বেগমকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা ভাবে দেনদরবার করতে থাকে। কিন্তু দেনদরবারে সমাধান হয়নি। এর জেরধরে ২৩ জুন দিবাগত রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় মনিরা বেগমের স্বামী মিন্টু মিয়া বোরকা ও মুখুশ পড়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুটলগ্রামে শশুড় বাড়িতে হামলা করে। বাড়ির লোকজনকে কিছু বুঝে উঠার আগেই ৩ জনকে কুপিয়ে জখম, স্ত্রী, শাশুড়ী ও জ্যাঠা শশুরসহ ৩ জনকে জবাই করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্ত্রী মনিরা বেগম(৩৫)। পরে দ্রুত পালিয়ে যায় ঘাতক মিন্টু মিয়া।

২৩ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গুরুত্বর আহত ৫জনকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘাতক মিন্টু মিয়ার জ্যাঠা শশুর নূর মোহাম্মদ মাহমুদ হাজী(৭৫) ও শাশুড়ী শেফালি বেগম(৫৫) মারা যায়।

বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ গুরুত্বর আহত বাচ্চুনি বেগম, মুনু মিয়া ও শাহাতাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে রের্ফাড করেন। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত মনিরা বেগমের স্বামী ঘাতক মিন্টু মিয়াকে আটক করেছে।

এব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী জানান, ঘটনার মূল ঘাতক গ্রেফতার হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পরেই সবকিছু পরিস্কার হবে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *