আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আ’লীগের হাত ধরেই নির্দেশিত হয়েছে দেশের মানুষের এগিয়ে চলার পথ। সেইসাথে আ’লীগের রাজনীতিরতি পথও নির্ণীত হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলটি জনকল্যাণ ও গণআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। আওয়ামী লীগ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-আধুনিক সুখী-সমৃদ্ধশালী কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সংগ্রামসহ জাতীয় জীবনে যা কিছু মহৎ অর্জন, তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ এক অবিচ্ছিন্ন অনুভূতির নাম। কাদের বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে এক সময়ের দারিদ্র্যকবলিত বাংলাশে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ ও চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
কাদের বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই পথচলায় অধিকাংশ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ সুদৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে এবং জনমানুষের আবেগ ও অনুভূতির বিশ্বস্ত ঠিকানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ডব্লিউজি/এএইচ