নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেই বকশীগঞ্জে

পানি বাড়ার সাথে সাথে জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানী নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। তার পরেও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেই বকশীগঞ্জ উপজেলায়। স্থানীয়রা চেষ্টা করেও ভাঙ্গন ঠেকাতে পারছেনা। নদী ভাঙ্গনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর, সাধুরপাড়া ও নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের মানচিত্র।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র বেষ্টিত দশানী, ব্রম্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদী। বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়ন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, বগারচর ইউনিয়ন ও নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের অবস্থান নদীরপাড়ে। দশানী, ব্রম্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদীর মানচিত্রের সাথে মিশে গেছে মেরুরচর ইউনিয়ন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, বগারচর ইউনিয়ন ও নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের ভূ-খন্ড। পানি বৃদ্ধির সাথে নদ নদী গুলোতে ভাঙ্গণ তীব্রাকার ধারণ করেছে। প্রতি বছর বর্ষাকালে থীব্রাকার ধারণ করলেও ভাঙ্গণ প্রতিরোধে বকশীগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছে। নদী গর্বে হারিয়ে যাচ্ছে আবাদী জমি। বাড়ছে ভূমিহীনের সংখ্যা।

বিগত এক সপ্তাহে মেরুরচর ইউনিয়নের মেরুরচর ইউনিয়নের আউল পাড়া, কলকিহারা, ফকিরপাড়া, মাদারেরচর, মাইছানিরচর, নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের সাজিমারা ও কুশলনগরসহ মেরুরচর, সাধুরপাড়া ও বগারচর ইউনিয়নের শতাধিব পরিবারের বসতবাড়ি ও ভিটেমাটি নদী গর্বে বিলিন হয়েছে। বিপুল পরিমান আবাদী জমি নদী গ্রাস করেছে। একই সাথে বালি পড়ে আবাদের অযোগ্য পড়ছে শত শত একর আবাদী জমি।

নদী ভাঙনের কবলে গৃহহীন বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া সাজিমারা গ্রামের নহিন্দর শেখ জানান,চোঁখের সামনেই আমার বসতঘর ও ভিটেমাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে আমি গৃহহীন। কুশল নগর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিন জানান,বন্যার শুরুতেই নদী ভাঙনে ঘর বাড়ি হারিয়েছি। আমরা নদীর কবল থেকে বাচঁতে চাই।

মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, দশানী ও ব্রম্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে মেরুরচর ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। স্থায়ী সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প না নিলে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা সম্ভব না। জনগণের জান মাল ও সম্পদ রক্ষায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার জানান, নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নে প্রতি বছর বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সাজিমারা ও কুশলনগর গ্রামে ৯/১০ টি বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। ১০/১২ টি বাড়ি অধিক ঝুকিঁতে রয়েছে। ভাঙ্গণ প্রতিরোধে সরকারিভাবে উদ্যোগ না নিলে স্থায়ী সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানে সরকারি উদ্যোগ জরুরী।

এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে সরকারি সহায়তা অব্যাহত আছে। সরকার জনগণের পাশে থাকবে। স্থায়ী সমাধানের বিভিন্ন পরিকল্পনা চলমান।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *