ছাগলনাইয়ায় ৬ স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক, ৩০ স্কুলে ৪০ শিক্ষকের পদ শূন্য

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ছয়টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই প্রায় চার বছর ধরে। এর মধ্যে ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকরা নিয়োগ পেতে পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আতাঁত করে পদ শূন্য রেখেছেন, যাতে তিন বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজেরা নিয়োগ পেতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুভপুরের জয়পুর সরেজনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে চার বছর ধরে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক ওহিদুর রহমান। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা গনি আহম্মেদ নিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে গনি আহম্মেদ জানিয়েছেন, ব্যস্ততার কারণে শিক্ষক নিয়োগ বিলম্বিত হচ্ছে।

ঘোপাল ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াছিনের মৃত্যুর পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে আজও প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাজহারুল হক। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নেতা জামশেদ আলমের ভাষ্য, তিনি সভাপতি হওয়ার আগে তিনটি অ্যাডহক কমিটি থাকায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

একইভাবে রাধানগর ইউনিয়নের মধুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, আনোয়ারা বেগম বালিকা বিদ্যালয় এবং মহামায়া ইউনিয়নের জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে প্রায় চার বছর ধরে।

এদিকে ইউনিয়নের নুরুন নেওয়াজ হাই স্কুল তিন বছর আগে এমপিওভুক্ত হলেও সেখানে প্রধান শিক্ষকসহ ১৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এ ব্যাপারে মাস্টাররোল বিদ্যালয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করা নাদেরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়টি এমপিওর আবেদন করার সময় গ্র্যাজুয়েট কোনো শিক্ষক না থাকায় সব শিক্ষকের পদ শূন্য রেখে এমপিওর জন্য আবেদন করা হলে এমপিও অনুমোদন হয়। অতিথি শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চলছে।

ছাগলনাইয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে ৪০টি। এনটিআরসি নিয়োগে অনেকে নিয়োগ পেলেও বিদ্যালয়ে যোগদান করছেন না। কিছু কিছু শিক্ষক যোগদান করলেও চার মাস ধরে প্রতিষ্ঠানে আসেন না।

ছাগলনাইয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার জানান, মহামারী করোনা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দিয়েছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌমিতা দাশ জানান, তিনি উপজেলায় নতুন এসেছেন। বিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *