বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্তবর্তী থানচির দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ১০ শয্যার একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ২ জন চিকিৎসক ও ৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নেতৃত্বে এই হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের শুক্রবার সকাল থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডাক্তার নীহার রঞ্জন নন্দী জানিয়েছেন।
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী থানচি উপজেলার দুর্গম আন্ধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি ও আলীকদম উপজেলার মায়ানমারের সীমান্তবর্তী কুরূপ পাতা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় ২ শিশু ১ পাড়া প্রধানসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে এসব এলাকায় অর্ধশতাধিক রোগী আক্রান্ত রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
থানচি ও আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তীব্র গরমে পাহাড়ি ঝর্ণার দূষিত পানি পান করে এসব এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছর গরমের সময়ে পাহাড়ের দুর্গম এলাকা গুলোতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম ও স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প গুলো থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়ায় বর্তমানে ডায়রিয়া পরিস্থিতির আগের চাইতে উন্নতি হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
এদিকে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন কি কারণে প্রতিবছর ডায়রিয়া হয় এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্য বিভাগ খতিয়ে দেখছে। এছাড়া পাহাড়ি ঝর্ণার যেসব দূষিত পানি স্থানীয় লোকজন পান করছে তার নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকায় লেবে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে জুমের মৌসুমে জুম চাষীরা বাগান ও খেতে যেসব কীটনাশক ব্যবহার করছে তার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ডব্লিউজি/এএইচ