প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকেই আমরা সিসি ক্যামেরা ও গণমাধ্যম প্রত্যক্ষ করছিলাম। দেখেছি নির্বাচনি পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। কোনও সংঘর্ষ ছাড়াই শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে কমবেশি ৬০ ভাগ ভোট পড়েছে বলেও তিনি জানান।
ভোটে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আগে থেকেই আমরা শক্ত ছিলাম, যাতে ভোট স্বচ্ছ হয়। সংবাদকর্মীদের অবাধ পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার কাছ থেকে মন্তব্য আমরা পেয়েছি। সকালে বৃষ্টি হয়েছিল, সে সময়ে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছিল। যার ফলে ভোট কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি এসেছিল। সার্বিকভাবে আমাদের অভিমত, ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন হয়েছে। ভোটারদেরও তেমন কোনও অভিযোগ শুনিনি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেছেন ইভিএমে তাদের একটু অসুবিধা হয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি যারা একটু বয়স্ক তাদের কারও কারও অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু সাধারণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ভালো হয়েছে।
কুমিল্লা সিটির ভোটকে সাংবাদিকরা গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া ৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। প্রথমবারের মতো সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রেখে ছিলাম।
‘নির্বাচনে ফার্স্ট ক্লাস না সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন’— দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। আপনারা মূল্যায়ন করবেন। আমি খুব উৎফুল্ল নই। খুব যে বেদনাক্লান্ত, তাও নই।
কুমিল্লার এমপি বাহারের মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে সেটা অতীত। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করবো না। বাহার সাহেবের ম্যাটার নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আপনারা করেছেন। এখন ভোট শেষ। এ বিষয়ে মন্তব্য আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি করবো না।
ইভিএমে গোপন কক্ষে ডাকাত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। ভোটকেন্দ্রে ডাকাত ঢুকেছে এটা হয়তো আরও পরে আসতে পারে। আমরা পরে পাবো।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, একটা পত্রিকায় এসেছে একজন উঁকি দিয়েছিল। কিন্তু আপনাদেরই একটা মিডিয়া থেকে বলা হয়েছে জিনিসটা সত্য নয়।