চাঁদা না দেওয়ায় ভাগ্নের বাড়িতে আ/গুন দিলেন  মামা

শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ৭:২৫ এএম

ছবি – ডব্লিউ জি নিউজ

পাবনার সুজানগর উপজেলায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়া ফ্রিল্যান্সার ভাগ্নের বাড়িতে আগুন দিল মাদক সম্রাট মামা। এ ঘটনা ৭/৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আপন ভাগ্নে- মামা হওয়ায় উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে তাঁতিবন্ধ ইউনিয়নের হুদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভূক্তভোগী ইমন মাহমুদ হুদারপাড়া গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে। তিনি ফ্রিল্যান্সিং করে জীবনযাপন করেন। 

অভিযুক্ত টুটুল মোল্লা ওই এলাকার আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে। সে এলাকার চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ী। থানায় একাধিক মামলার আসামী। আগে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিতো। এখন বিএনপি নেতা পরিচয় দেয়।

ডব্লিউ জি নিউজ সর্বশেষ জানতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইমন মাহমুদ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা জোগাড় করে তিনি একটি দোতলা বিশিষ্ট একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করছেন। প্রায় বছর খানেকের মত ধরে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন কয়েকজন মিস্ত্রি।  

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আপন মামা টুটুল মোল্লা। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ভাগ্নে ইমনকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়াও শ্রমিকদের ব্যাপক মারধোর এবং বিল্ডিং-এর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

তখন এলাকার ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পারিবারিক আপোষ মীমাসার চেষ্টা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে টুটুল মোল্লা ও তার ক্যাডার হাসান আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ীতে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করে।

এ ঘটনায় আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিষপত্র সিমেন্ট, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, স্যানিটারী সামগ্রী, আইপিসহ মূল্যবান কাগজপত্র পানি তোলার মটরসহ ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আনুমানিক ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।  অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। 

 ভুক্তভোগী ইমন মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, আমার আপন মামা আমার থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এরচেয়ে আর দু:খজনক ঘটনা কি হতে পারে?।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। সে চিন্হিত মাদক কারবারি। তাকে সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে চেনে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমি একটি বাড়ি নির্মাণ করতেছি। এজন্য সে চাঁদা দাবি করে। মাঝেমধ্যেই আমাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এই বাসাতে থাকতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারী দেয়।  

টাকা না দেওয়ায় আমার সন্তানকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। আমি এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত টুটুল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ জন্য বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মজিবর রহমান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করা হয়েছে। মামলা নথিভুক্ত করা হবে। 

পাবনা প্রতিনিধি II ডব্লিউ জি নিউজ ডেস্ক

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam