নেত্রকোনায় পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই বিদ্যালয়ের ৫ এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা-মদন সড়কের বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা হল, জেলার মদন উপজেলাধীন কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের সুর্বনা আক্তার, আনোয়ার হোসেন, জেরিন আক্তার, তাসলিমা আক্তার, লাহেছ মিয়া। এদের মধ্যে সুর্বনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকী আহতদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে।শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অটোরিকশা চালক মাসুম মিয়া ও লরি চালক রাসেল মিয়াও আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতি ডিগ্রি কলেজে। শনিবার দুপুরে পরিক্ষা শেষে পাঁচ শিক্ষার্থী একটি অটোরিকশা দিয়ে তেলিগাতি থেকে বাড়ি ফিরছিল। নেত্রকোনা-মদন সড়কের বটতলা নামক স্থানে কেন্দুয়া থেকে আসা রডবোঝাই লরি বিপরীত দিক থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার পাশের ডোবায় লরি ও অটোরিকশাটি পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা ও মদন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার শায়ন্তনী শর্মা জানান, শিক্ষার্থী সুর্বনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারণা করা হয়েছে তাদের হাত ও পা এর হাড় একাধিক স্থানে ভেঙে গেছে। দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মদ বলেন, লড়ির ধাক্কায় আমার বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
