সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পাঁচতলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করেও টাকা না দিয়ে তালবাহানা : প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫,

ছবি – ডব্লিউ জি নিউজ

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন-২ নির্মাণ কাজ শেষ করেও বকেয়া মজুরি ১৭ লক্ষাধিক টাকা না দিয়ে তালবাহানা করছে কলেজ কতৃপক্ষ।এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভবনটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। 

শনিবার(২৮ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের ইটাগাছা গ্রামের ওমর আলী মোড়লের ছেলে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ওবায়দুল ইসলাম।  

লিখিত অভিযোগে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, গত ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফজাল হোসেন ও ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ আল হাদীর তত্ত্বাবধানে ৫ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন-২ এর নির্মান কাজ শুরু হয়।তাদের সাথে চুক্তি হয় ৫ তলা ভবন সম্পন্ন করার পর স্কয়ারফুট মেপে প্রতি স্কয়ার ফুট ২শ টাকা হারে আমাদের মজুরির বিল (টাকা)দেওয়া হবে।সেই অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শুরু করে ইতোমধ্যে ভবনের কাঠামো তৈরি পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে।কাজের মধ্যে কলেজ কতৃপক্ষ মজুরির কিছু কিছু টাকাও আমাদের দিয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী। কিন্তু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বদলী হন তৎকালীন প্রিন্সিপাল মো.আমানুল্লাহ আল হাদী। এরপর নতুন প্রিন্সিপাল হিসেবে প্রফেসর আবুল হাশেম যোগদানের পর আমাদের কোন টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।তিনি বলেন, ভবনের অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র নাকি তার কাছে নেই। আগের কোনো বরাদ্দ বা ব্যয়ের হিসাবও এখনো বুঝে পাইনি।আমি কোনো বিল পরিশোধ করতে পারবো না বলে জানিয়ে দেন। 

ডব্লিউ জি নিউজ সর্বশেষ খবর জানতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।

তিনি তার লিখতো বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, আমি এতোদিন ধরে গরিব শ্রমিকদের নিয়ে ৫তলা ভবনের কাজ করেছি।শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। অথচ বর্তমান অধ্যক্ষ ৫তলা ভবনটি অবৈধ দাবি করলেও সেই একই ভবনে বর্তমানে সরকারি বরাদ্দে নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন আমার হিসাব মতে ৩৫ হাজার স্কয়ারফুট কাজের মোট বিল হয় ৭০ লক্ষ টাকা।এর মধ্যে আমি পেয়েছি ৪৩ লক্ষ টাকা।আরও বকেয়া রয়েছে ২৭ লক্ষ।আপোষের ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা ছেড়ে দিলেও এখনো আমার ১৭ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে।আমার পাওনা টাকা না দিয়ে নতুন শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করা অন্যায় হয়েছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন।

তিনি আরও বলেন, কষ্টার্জিত শ্রমের সঠিক মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ছি।আমার “বাবার চিকিৎসা, পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো সবকিছু অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছি।কঠোর পরিশ্রমের পরও শ্রমিকদের মজুরির টাকা না পেয়ে সকলেই নিদারুন অর্থকষ্টে ভুগছে। আমার পাওনা টাকাগুলো ন্যায়বিচার মাধ্যমে পেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নকে জানালে বিষয়টি নিয়ে তারা কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলেন এবং যতদিন টাকার বিষয়টি সুরাহা না হবে, ততদিন শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকবে বলে তারা জানান।শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ডব্লিউ জি নিউজ

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam