
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে ।মাদারীপুরে তিনটি আসনের ফল ঘোষণা করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। মাদারীপুরে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামীলীগের নৌকা ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা হয়। মাদারীপুর-১ ( শিবচর) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সাবেক ছয় বারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-২ ( সদর- রাজৈর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান এবং মাদারীপুর-৩( কালকিনি – ডাসার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী।
রোববার (৭ ই জানুয়ারি) রাতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বেসরকারিভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও সরকারের উপ-সচিব মাদারীপুর মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মোঃ নাজমুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলীসহ অন্যরা।
এদিকে মাদারীপুর-১ (শিবচর)আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন প্রাপ্ত ভোট -১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ( নাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মোতাহার হোসেন সিদ্দিকী প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৮২৬ এছাড়া তরিকত ফেডারেশনের (ফুলের মালা) প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন খান পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪ ভোট। মাদারীপুর-২( সদর- রাজৈর) আসনের আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খানের প্রাপ্ত ভোট -২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি এ কে এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের সুবল চন্দ্র মজুমদার প্রাপ্ত ভোট -৩ হাজার ১৯ ভোট। সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমনের প্রাপ্ত ভোট -১ হাজার ৬৬৩ টি। মাদারীপুর-৩( কালকিনি – ডাসার )আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগমের প্রাপ্ত ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ প্রাপ্ত ভোট – ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাঙ্গল প্রতীকের মোহাম্মাদ আব্দুল খালেকের প্রাপ্ত -৫৩৩ ভোট।
সপ্তম বারের মত নির্বাচনে জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, মাদারীপুর -১ শিবচরের মানুষ আমাকে টানা সাতবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এবার সবচেয়ে বেশি ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার ওপর মানুষ আস্থা রেখেছেন। তারা আমাকে ভালোবাসেন। আমার বাবাকেও তিনবার নির্বাচিত করেছিলেন শিবচরের জনগণ। সবাই মিলে এবার যেভাবে আমাকে ভোট দিয়েছেন আমি ঋণী ও কৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করবো আগে যেভাবে উন্নয়ন করেছি সেভাবে কাজ করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শিবচরের উন্নয়ন আরো চমকপ্রদক হবে।
নির্বাচিত হওয়ার পরদিন মাদারীপুর -১ (শিবচর) নিজ আসনের দলীয় নেতা কর্মী ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন নূ-ই-আলম চৌধুরী লিটন,( ৮ জানুয়ারী ) সোমবার চৌধুরী ফিরোজা বেগম পৌর অডিটোরিয়ামে ।
এসময় দলীয় নেতা কর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছায় মুখরিত হয়ে ওঠে , এসময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রাণের নেতা নূ-ই-আলম চৌধুরীকে,
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সাজান মোল্লা ,সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া, শিবচর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ ইলিয়াস হোসেন পাশা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুজ্জামান খান সহ নেতা কর্মীদের পাশি পাশি শিবচর প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম নাসিরুল হকের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নূ-ই-আলম চৌধুরী লিটন কে।