নড়াইলে বেড়েছে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

নড়াইলে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা ধরনের রোগ। নড়াইল সদর হাসপাতালে ১০০টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন দুইশো থেকে তিনশো রোগী ভর্তি হচ্ছে। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য রয়েছে ১৫ শয্যা। বর্তমানে সেখানে প্রায় ১১০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। চলতি মাসে শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ৪৯৩ জন শিশু ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (২০নভেম্বর) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শয্যা সংখ্যার চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। যার অধিকাংশই নিউমোনিয়ার রোগী। শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় বাধ্য হয়ে রোগীরা এক শয্যায় ২-৩ জন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কারো ঠাঁই হয়েছে বারান্দার মেঝেতে। এতে চিকিৎসা  নিতে এসে ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনেরা৷

শিশু সন্তানকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা তাপসী বেগম বলেন, সন্তানের জ্বর, কাশি, ঠান্ডা নিয়ে রবিবার বিকালে ভর্তি হয়েছি। বেড পাইনি। সকালে বারান্দায় একটি বেড পেয়েছি।

নড়াইল সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আলিমুজ্জামান সেতু বলেন, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে রোগীদের চাপ থাকে। তবে এবার একটু বেশি মনে হচ্ছে। আমাদের জনবল সংকট, শয্যা সংখ্যা সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার।

এব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল গফফার বলেন, জনবল সংকট ও শয্যা সংখ্যা সংকট রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা যথাযম্ভব চেষ্টা করছেন চিকিৎসা দেওয়ার। অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ যে, এসময় বাচ্চাদের একেবারে ভোরে না উঠিয়ে বেলা হলে তাপমাত্রা বাড়লে ওঠাবেন। ছোট বাচ্চাদের ৫/৭ দিন পর পর গোসল করাবে। নিতান্ত প্রয়োজন হলে রৌদ্রে পানি রেখে গরম পানিতে গোসল করাবেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You