একেই বলে মা’ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মেয়ে

মেয়েকে বাঁচাতে কিডনি দিয়েছেন মা। এরপর দুজনই সুস্থ হয়ে ওঠেন। আগস্টের প্রথম দিনে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মায়ের কিডনি মেয়ের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে মা ও মেয়েকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা এবং কেক কেটে বিদায় জানানো হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের হাতে ওষুধ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য বলেন, আজকে আমাদের অন্যরকম দিন। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছেন। এমন হাসিমাখা মুখ সব রোগীর ক্ষেত্রে দেখতে চাই।

তিনি বলেন, মানুষ বিদেশ যায় ক্যান্সার, ইনফার্টিলিটি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, আর্থোস্কপিক, স্টেমসেল থেরাপি, রোবটিক সার্জারি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করতে। আমরা এসব চিকিৎসা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু করতে চাই।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরিদপুরের ১৭ বছরের শ্রাবণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি বিকল হয়ে অসুস্থ ছিল। মা মনোয়ারা মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। নিজের একটি কিডনি মেয়েকে দান করার সম্মতি প্রদান করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ১ আগস্ট কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল। অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন দেবব্রত বণিক, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেবাশীষ বণিক, শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফরোজা বেগম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের অধ্যাপক তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেনসহ ৩১ চিকিৎসক এ কার্যক্রমে অংশ নেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You