ভোলায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা! শয্যা ও জনবল সংকট হাসপাতালে

ভোলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। দিন যত যাচ্ছে ততোই দ্বীপ জেলা ভোলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। এ পর্যন্ত এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ২৮০ জন। এদিকে জেলার প্রধান এই হাসপাতালে জনবল এবং শয্যা সংকট থাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

সামান্য জ্বর কিংবা পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অনেকের ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। আবার ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ অন্যান্য জ্বরের ও বেশ প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। যা রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ভোলায় শহর হোক আর গ্রাম হোক প্রায় প্রতিটি ঘরে বছরের এই সময়টায় জ্বরে আক্রান্ত রোগী দেখা যায়। তবে তুলনামূলক হারে এবছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার অনেক বেশি। আবার আক্রান্তদের মধ্যে অনেক রোগী হাসপাতালে আসেন না। রোগীর অবস্থা একটু বেশি খারাপের দিকে গেলে তবেই তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তা না হলে বাড়িতেই তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে বেশির ভাগই ডেঙ্গু ধরার পর হাসপাতালে ভর্তি হয় বলে জানা যায়।

রোগীর এক স্বজন বলেন, এখানের চিকিৎসা মোটামুটি ভালো। ডাক্তাররাও খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে এখানের বাথরুমের একেবারেই দুরাবস্থা। পুরুষ ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ড দুটোতেই লম্বা সিরিয়াল ধরতে হয়।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এক রোগী বলেন, এখানে ভর্তি হতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে, কারণ এখানে প্রচুর ডেঙ্গুরোগী আসছে প্রতিদিন। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ আমি সিট পেয়েছি। এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো। ডাক্তাররা যথেষ্ট খোঁজখবর নিচ্ছেন।

জানা যায়, ভোলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ২৪টি। রোগীর চাপ বেশি থাকায় আরও ৮টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও চিকিৎসা নিতে এসে শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে মেঝেতে অবস্থান করতে হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে রোগীদের।

ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মু. মনিরুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট থাকলেও ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসায় কোনরকম অবহেলা করা হচ্ছে না। তবে শুধু জ্বর হলেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় না। জ্বর ছাড়াও অনেক রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হচ্ছে।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভোলা পৌর এলাকায় মশা নিধনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঔষধ ছিটানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You