ঢাকায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’

মৌসুমের আগেই ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ঢাকাবাসী। প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছেন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে, হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শতশত ডেঙ্গু রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা যায়, রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমান নির্দিষ্ট মানদণ্ডের থেকে বেশি। এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেখানে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিসের লার্ভার গড় ঘনত্ব ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাক-মৌসুম জরিপে এমন উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা গত ১৮ থেকে ২৫ জুন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এই জরিপ পরিচালনা করেছে।

জরিপে ঢাকা মহানগরীতে এডিসের লার্ভার ঘনত্ব পাওয়া গেছে ২০ শতাংশের বেশি। দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিসের লার্ভার গড় ঘনত্ব ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বহুতল ভবনে এই হার আরও বেশি। উত্তর সিটির বহুতল ভবনে এই হার ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ আর দক্ষিণে ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এ ছাড়া বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন স্থাপনা, খালি জমিতেও উদ্বেগজনক হারে লার্ভা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি প্লাস্টিকের ড্রাম, মগ, টায়ার ও সিমেন্টের পানির ট্যাংকেও লার্ভার উপস্থিতি মিলেছে।

জরিপে ডিএনসিসি এলাকার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও ডিএসসিসি এলাকায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়িতে এমন লার্ভা পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ডিএসসিসির মোট ১৫৪৯টি বাড়ি পরীক্ষা করা হয়।

এসব বাড়িতে জরিপকারীরা মোট ১ হাজার ৭৪৪টি ভেজা পাত্র খুঁজে পান। এরমধ্যে ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ বাড়িতেই মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ডিএনসিসির ৯৬২টি বাড়ি পরীক্ষা করে মোট ৯৯৪টি ভেজা পাত্র পাওয়া যায়। এরমধ্যে প্রায় ২৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ ভেজা পাত্রেই মশার লার্ভা ছিল।

শেয়ার করুন:

Recommended For You